আতিকুর রহমান মানিক::
কক্সবাজার সদরের উপকূলীয় পোকখালী ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকা “পরিদর্শনে” ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন নিজে মাইক নিজে ব্যাটারী হিসাবে পরিচিত কুতুব উদ্দীন চৌধুরী। কিন্তু দূর্গত জনগনকে ত্রান সহায়তা করার প্রবল সাধ থাকলেও সাধ্য না থাকায় তিনি অসহায় বলে জানান। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর সংকেত দেয়ার পর থেকে রিক্সায় মাইক বেঁধে নিজেই মাইকিং করে তার “নির্বাচনী এলাকা”র জনসাধারণকে সতর্ক করেন তিনি। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় ঝড়-বৃষ্টি ও প্রবল বাতাস উপেক্ষা করে সারাদিন উপকূলীয় এলাকায় ছিলেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঐদিন ইউনিয়নের বিভিন্ন জনসমাগমস্হানে রিক্সা থামিয়ে মাইকে জ্বালাময়ী বক্তব্য দেন কুতুব উদ্দীন চৌধুরী। দূর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ না করলে রেড ক্রিসেন্ট অফিস ঘেরাও ও বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার দায়ে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের বদলীকরা সহ আরো বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষনা করে তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে জনগনকে সাথে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে যাবেন! সাবেক এম পি, বর্তমান এম পি ও চেয়ারম্যানরা দূর্গত জনগণের পাশে নেই বলেও দাবী করে তিনি আরো বলেন, চশমা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সবসময় জনগনের পাশে থাকবেন। এখন ত্রাণ দেয়ার সাধ থাকলেও সাধ্য না থাকায় সম্ভব হচ্ছেনা বলে জানান কুতুব চৌধুরী। এসময় শ্রোতাদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মাইকিংয়ের জন্য অন্য কাউকে নিয়োগ করলে তারা সবকিছু গুছিয়ে বলতে পারবেনা তাই নিজের মাইকিং নিজেই করছেন। নির্বাচনী পোস্টার-লিফলেট-হ্যান্ডবিল করারও দরকার নেই মনে করেন স্বতন্ত্র এ প্রার্থী। উল্লেখ্য, পোকখালীর আলোচিত কুতুব উদ্দীন চৌধুরীর ব্যতিক্রমী সব কর্মকান্ড নিয়ে বিভন্ন অনলাইন পোর্টালে ইতিপূর্বে কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে দেশ-বিদেশে রাতারাতি পরিচিতি পান তিনি।
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এবার ক্যাম্প-৪ ডাব্লিউতে পুড়ে গেছে তিনটি ...
পাঠকের মতামত